বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আসে

বাংলাদেশ সব পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ রাষ্ট্রেই এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার শুরু হয়েছে। এন্ড্রয়েড ফোন বিশ্বের অন্যতম সাফল্য আবিষ্কার। এই পোস্ট থেকে বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আসে সেই সম্পর্কে জানতে পারবে।

আমরা প্রায় সবাই এন্ড্রয়েড ফোনের সাথে পরিচিত। সাধারণ বাটন মোবাইল থেকে এন্ড্রয়েড মোবাইলের সুবিধা রয়েছে অনেক। তাই আমরা প্রায় সবাই এ সকল সুবিধার জন্য এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে থাকি। বিশ্বের এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও এগিয়ে চলেছে। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে এই পোস্ট আপনাদের সাথে আলোচনা করব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক। বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন

স্মার্টফোন কি?

স্মার্ট ফোন হচ্ছে হাতে থাকা মোবাইলের কম্পিউটিং সিস্টেম। অর্থাৎ কম্পিউটারের মাধ্যমে করা কাজগুলো যে সকল ফোনের মাধ্যমে করা সম্ভব সেগুলোকে স্মার্টফোন বলে। সাধারণত কম্পিউটারের মাধ্যমে হিসাব নিকাশ করা হতো। যা বর্তমানে স্মার্টফোনের মাধ্যমে করা সম্ভব। তাই স্মার্ট বিশ্বের সকল কাজকর্মকে স্মার্টভাবে করার সাফল্যের জন্য স্মার্টফোন গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকে স্মার্টভাবে এগিয়ে নিতে মোবাইল ফোনের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন

স্মার্টফোন কত সালে আবিষ্কার হয়

সময়টা 1993 সাল, যখন আবিষ্কার করা হয়েছিল বিশ্বের প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ফোন। এবং এর নাম দেওয়া হয়েছিল আইবিএম সাইমন। এটি একটি মোবাইল ফোন, পিজিআর, ফ্লাক্স সহ কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে গঠিত। তখনকার দিনে এটিতে ঘড়ি, বর্ষপঞ্জিকা, email, নোটপ্যাড সহ সাধারণ কিছু করা যেত। যা বর্তমানে সর্বোচ্চ স্মার্ট যুগে এসে পরিচিত হয়েছে। বর্তমানে এই অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি লন্ডনের জাদুঘরে রাখা হয়েছে। আর হ্যাঁ, এই ফোনের আবিষ্কারক হচ্ছে প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা আইবিএম। চলুন জেনে নেই বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আসে 

স্মার্টফোন কত সালে বাংলাদেশে আসে

বাংলাদেশের ২০০৮ সাল নাগাদ স্মার্টফোন আসে। যে সময়টায় অধিকাংশ মানুষের কাছেই এই ফোনটি ক্রয় করার সাধ্য ছিল না। তখনো বাংলাদেশে সাধারণ মোবাইল ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে হয়ে ওঠেনি। তাই ২০০৮ সাল নাগাদ বাংলাদেশের প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ফোন আসলেও সেটা ছিল খুব সীমিত। পরবর্তীতে ২০১০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে স্মার্টফোনের আমদানি বেড়ে যায়। সে সময় বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারজাতকরণ শুরু করে। এবং বিশেষ করে ২০১২ সাল নাগাদ স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি হতে থাকে। তখনকার সময়ে nokia, samsung এর মত কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ফোন বাংলাদেশ ে প্রচুর পরিমাণে জনপ্রিয়তা লাভ পেয়েছে। এবং পরবর্তীতে ২০১২ সালের দিকে সেগুলো দেশের সর্বস্তরের ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন

লাইভ খেলা দেখার সফটওয়্যার – খেলা দেখুন খুব সহজে।

বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন চালু করেছিল গ্রামীনফোন কোম্পানি। ১৯৯৭ সালের সময় বাংলাদেশের এই গ্রামীণফোন কোম্পানি বাটন মোবাইলের মাধ্যমে ফোনের ব্যবহার শুরু হয়। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশে গ্রামীণফোন সিম কোম্পানি হিসেবে পরিচিত।

গ্রামীণফোন মূলত বাংলাদেশি কোম্পানি হলেও এর মূল মালিকানা নরওয়েতে। নরওয়ে টেলিকম কোম্পানির টেলিনর এর হাতে। বাংলাদেশের মোবাইল এর ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ অনেক। তখনকার সময় এটা খুবই জনপ্রিয়তা লাভ পেয়েছে।

শেষ কথা: স্মার্ট ফোন বাংলাদেশ

স্মার্ট ফোন বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য অসংখ্যভাবে ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশ্ব উন্নতি করার জন্য স্মার্টফোনের ভূমিকা অনেক। বর্তমানে স্মার্টফোনের কারণে আমরা উন্নতভাবে জীবন যাপন করছি। তাই আমাদের জীবনের স্মার্ট ফোন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভাবে ভূমিকা পালন করে।

যে কোন বিষয়ে আপডেট পেতে আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top